বন্দর সংবাদদাতা
বন্দরে গরুর ট্রলার থামিয়ে চাঁদা আদায়ের সময় ৪ নৌ-চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ গ্রেফতারকৃত চাঁদাবাজদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ১৬ হাজার ৬শ’ টাকা ও ১টি চাঁদা আদায়ের রশীদ বইসহ ১টি ট্রলার জব্দ করে। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বন্দরে মাদক স¤্রাট বøাক জনী ও সুজন মুন্সী নামে আরো ২ চাঁদাবাজ কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সোমবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টয় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মহনপুরস্থ বক্ষপুত্র নদীতে অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত চাঁদাবাজরা হলো, বন্দর থানার দড়ি-সোনাকান্দা এলাকার আলী আকবর মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল (৩৮), মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে মুসা ইব্রাহিম (২৫), মদনগঞ্জ লক্ষারচর এলাকার জসিম শিকদারের ছেলে মাহমুদুল হাসান (২৩) ও সোনারগাঁ থানার সম্ভুপুরা এলাকার তাহের আলী মিয়ার ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩৫)। এ ব্যাপারে মদনগঞ্জ ফাঁড়িরউপ-পরিদর্শক আব্দুর রহমান ঢালী বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত ৪ নৌ-চাঁদাবাজসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, রোববার সকালে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সুচিয়ারবন এলাকার আমু মিয়ার ছেলে ও চাঁদাবাজি মামলার পলাতক আসামী বন্দরের শীর্ষ মাদক স¤্রাট বøাক জনীর নেতৃত্বে গ্রেফতারকৃত ৪ নৌ-চাঁদাবাজ ও পলাতক অপর চাঁদাবাজ ব্রক্ষপুত্র নদীতে গরু ট্রলার থামিয়ে গরু প্রতি ২শ’ টাকা করে চাঁদা আদায় করছিল। এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে গরুর ট্রলার থেকে চাঁদা আদায়ের সময় ৪ নৌ-চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেফতারকৃত চাঁদাবাজদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।